প্রবীণ নাগরিকদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। বিশ্বজুড়ে বয়স্ক জনসংখ্যার হার বাড়ার সাথে সাথে তাদের সার্বিক কল্যাণের প্রতি মনোযোগ দেওয়া আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। এমন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, ২০২৫ সালের বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসে, থানের কিমস হাসপাতাল এবং ভারতের প্রবীণ সেবা খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইমোয়া একটি যুগান্তকারী অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছে। এই জোটের মূল লক্ষ্য হল প্রবীণদের যত্নের ধারণাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা এবং তাঁদেরকে সমাজের কেন্দ্রে নিয়ে আসা।
এই অংশীদারিত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। আধুনিক সমাজে প্রবীণরা প্রায়শই স্বাস্থ্যগত জটিলতা, একাকীত্ব এবং মানসিক অবসাদের মতো নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। কিমস হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা এবং ইমোয়ার সামগ্রিক বয়োজ্যেষ্ঠ সেবা ও প্রযুক্তিগত সমাধান, এই দুটি মিলিয়ে প্রবীণদের জন্য একটি সমন্বিত ও সহানুভূতিশীল যত্নের ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এর ফলে, তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং তাঁরা আরও সম্মানের সাথে বাঁচতে পারবেন।
এই উদ্যোগ শুধুমাত্র চিকিৎসা পরিষেবাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং প্রবীণদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতার উপর জোর দেবে। ইমোয়ার হোম কেয়ার সার্ভিস, জরুরি সহায়তা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার প্রবীণদের বাড়িতে বসেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ও সার্বক্ষণিক দেখভালের সুযোগ করে দেবে। অন্যদিকে, কিমস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রবীণদের স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ কমাবে। এই সমন্বিত প্রয়াস তাঁদের জীবনের শেষ দিনগুলো পর্যন্ত সুস্থ ও সক্রিয় থাকতে সাহায্য করবে।
এই ধরনের একটি সহযোগিতা ভবিষ্যতে প্রবীণ সেবার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড তৈরি করতে পারে। এটি কেবল থানে বা ভারতে নয়, বরং সমগ্র উপমহাদেশে প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার ধারণায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এবং কেয়ার ব্র্যান্ডগুলিও হয়তো এই মডেল অনুসরণ করে প্রবীণদের জন্য আরও কার্যকর এবং উন্নত পরিষেবা দিতে উৎসাহিত হবে। এর মাধ্যমে আমরা এমন একটি সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখতে পারি যেখানে প্রবীণরা অবহেলিত নন, বরং তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে মূল্য দেওয়া হয়।
সুতরাং, কিমস হাসপাতাল এবং ইমোয়ার এই অংশীদারিত্ব কেবল একটি ব্যবসায়িক চুক্তি নয়, এটি প্রবীণদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ববোধের একটি শক্তিশালী প্রতিফলন। এটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রবীণদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সবার নৈতিক কর্তব্য। এই উদ্যোগের মাধ্যমে #Eldersfirst স্লোগানটি শুধু একটি হ্যাশট্যাগ থাকবে না, বরং তা বাস্তব জীবনে প্রবীণদের জন্য সম্মান, নিরাপত্তা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠবে। আশা করা যায়, এই প্রয়াস প্রবীণদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং তাদের শেষ দিনগুলো সুন্দর ও অর্থবহ করে তুলবে।