সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে এক অদ্ভুত অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিশেষত প্রযুক্তি খাতে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বের নামিদামি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম কমেছে, যা বৈশ্বিক পুঁজিবাজারকে কিছুটা টেনে ধরেছে। বিনিয়োগকারীদের মনে তৈরি হয়েছে এক মিশ্র অনুভূতি, যদিও এমন ওঠানামা বাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
যেসব প্রযুক্তি সংস্থা একসময় বাজারকে নেতৃত্ব দিতো এবং বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফোটাতো, এবার তাদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। অ্যাপল, অ্যামাজন ও অ্যালফাবেটের মতো দৈত্যাকার কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় অনেকেই বিস্মিত। এটি সম্পূর্ণ ধ্বস না হলেও, তাদের কাছ থেকে এমন নিস্তেজ প্রতিক্রিয়া কেউই আশা করেনি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পতন হয়তো বাজার সংশোধনের (market correction) একটি অংশ মাত্র। অতিমূল্যায়িত শেয়ারগুলো স্বাভাবিক মানে ফিরে আসছে অথবা অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা কিছুটা সতর্ক হয়েছে। প্রযুক্তি খাতের তীব্র উত্থানের পর এমন একটা বিরতি আসা খুব অস্বাভাবিক নয়, কারণ বাজারের গতি প্রকৃতি সবসময়ই চক্রাকার।
তবে এই বাজার অস্থিরতা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। পুঁজিবাজারের ওঠানামা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই বলে ব্যক্তিগত আনন্দ বা গ্রীষ্মের ফুর্তি মাটি হতে দেওয়া উচিত নয়। বরং এমন সময়টায় পরিবারের সাথে কাটানো, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা অথবা নতুন কিছু শেখার দিকে মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে, আজকের পতন চিরস্থায়ী নয়। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীরা জানেন, বাজারের এমন মন্দা সাময়িক এবং সঠিক সময়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। তাই আর্থিক সিদ্ধান্তের পাশাপাশি জীবনের ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলোকেও সমান গুরুত্ব দিন। কারণ সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ মনই যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় শক্তি।