বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস উপলক্ষে (২২শে আগস্ট, ২০২৫) একটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক খবর এসেছে, যা ভারতের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। থানের কাইমস হসপিটালস এবং ভারতের শীর্ষস্থানীয় জেরিয়াট্রিক কেয়ার ব্র্যান্ড ইমোহার মধ্যে একটি যুগান্তকারী অংশীদারিত্বের ঘোষণা করা হয়েছে। এই নতুন মেলবন্ধন প্রবীণদের যত্ন ও সেবার ধারণাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যার মূলমন্ত্র হলো #Eldersfirst – অর্থাৎ প্রবীণদেরকেই সবার আগে স্থান দেওয়া।
এই সহযোগিতা কেবল চিকিৎসা সেবা নয়, বরং প্রবীণদের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে একটি পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতির দিকে ইঙ্গিত করে। একদিকে কাইমস হসপিটালসের উন্নত চিকিৎসা সুবিধা এবং অন্যদিকে ইমোহার বিশেষায়িত প্রবীণ যত্ন, তাদের দৈনন্দিন চাহিদা এবং মানসিক সুস্থতার প্রতি গভীর মনোযোগ—এই দুইয়ের সংমিশ্রণ প্রবীণদের জন্য একটি সমন্বিত ও কার্যকর সেবার মডেল তৈরি করবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে যে আমাদের প্রবীণরা শুধু রোগমুক্তই নন, বরং মানসিকভাবেও স্বাচ্ছন্দ্য ও সচল জীবনযাপন করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে প্রবীণদের জন্য বিশেষায়িত যত্নের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। নগরায়নের ফলে একক পরিবারের প্রবণতা বৃদ্ধি এবং সন্তানদের কর্মব্যস্ততা প্রায়শই প্রবীণদের একাকীত্ব ও স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ফেলে দেয়। এই প্রেক্ষাপটে কাইমস এবং ইমোহার এই অংশীদারিত্ব একটি সময়োপযোগী এবং দূরদর্শী সমাধান হিসেবে কাজ করবে। এটি কেবল শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসা দেবে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং ব্যক্তিগত মর্যাদাকে গুরুত্ব দেবে, যা আধুনিক প্রবীণ সেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এই পদক্ষেপের ফলে থানে এবং এর আশেপাশের এলাকার প্রবীণ নাগরিকরা উন্নততর স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনযাপনের সুযোগ পাবেন। একইসাথে এটি অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এবং জেরিয়াট্রিক কেয়ার প্রদানকারীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে। এমন একটি সফল মডেল দেখে তারাও প্রবীণদের জন্য আরও সংবেদনশীল ও কার্যকর সেবা পদ্ধতি তৈরি করতে উৎসাহিত হবেন। এই ধরনের উদ্যোগ সমাজে প্রবীণদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেবে এবং উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাবে।
পরিশেষে বলা যায়, কাইমস হসপিটালস এবং ইমোহার এই মেলবন্ধন প্রবীণদের যত্নে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে চলেছে। এটি শুধু দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি চুক্তি নয়, বরং আমাদের সমাজের প্রবীণ সদস্যদের প্রতি সম্মিলিত দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার এক প্রতিচ্ছবি। আশা করা যায়, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রতিটি প্রবীণ ব্যক্তি আরও যত্নে, সম্মানে এবং সুস্থ জীবনযাপনের সুযোগ পাবেন এবং তাদের শেষ জীবন আনন্দময় হয়ে উঠবে।