ভূমিকা

সরকারি চিকিৎসাঙ্গনে চাকুরীরত চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ওয়ার্ডবয়, আয়া, কর্মচারী কেউ সন্তুষ্ট নন। কারণ তাদের বেতন ভাতা অপর্যাপ্ত। অমানুষিক পরিশ্রম। যোগ্যতা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, কাজের মান ও পরিমাণের মূল্যায়ন নেই। রাজনীতি, দল বাজি, ঘুষ, তৈলমর্দন ছাড়া পদোন্নতি, ভালো পদায়ন হয় না। আত্ম মর্যাদা চরম ভাবে লঙ্ঘিত হয়।

যারা বেশী কাজ করেন তারাই বঞ্চিত হন বেশী

যারা সবচেয়ে বেশী কাজ করেন, যারা গ্রামে বছরের পর বছর কাজ করেন, যাদের মামা চাচা বা দলীয় পরিচয় নাই তারাই বঞ্চিত হন সবচাইতে বেশী। আবার নিজের রাজনৈতিক দল ক্ষমতা হারালে চরম সর্বনাশ নেমে আসে জীবনে। যোগ্যতা দক্ষতা যাই থাকুক না কেন পোস্টিং দেয়া হয় দূরবর্তী বা দুর্গম এলাকায়। সেখানে কাজের সুযোগ থাক বা না থাক। অবশ্য অফিস কামাই করে দিনের পর দিন থাকাও যায়। তারা বেতন পান। কিন্তু দেশ বা রোগীরা তাদের সেবা পায় না। এতে নীতি-নির্ধারকদের কিছু যায় আসে না।

কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও সুযোগের অভাব

সেবাদানকারীরা কর্মস্থলে নিরাপত্তার অভাব, ভালো আবাসন, সন্তান সন্ততির লেখা পড়ার সমস্যার কথাও বলে থাকেন।

দূরবর্তী অঞ্চলে কাজ করার জন্য প্রণোদনা নেই

দূরবর্তী ও দুর্গম অঞ্চলে কাজ করার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা নেই বা থাকলেও তা এতই যৎসামান্য যে কাউকে আকৃষ্ট করে না।

 

সর্বশেষ লেখা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন উচ্চতর কোর্সে প্রয়োজন অনুযায়ী আসন সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে হবে।
বাংলাদেশে কর্ম রত সরকারি-বেসরকারি সব চিকিৎসকের মধ্যেই ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতা লক্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর অন্যতম কারণ
সরকারি চিকিৎসাঙ্গনে চাকুরীরত চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ওয়ার্ডবয়, আয়া, কর্মচারী কেউ সন্তুষ্ট নন। কারণ তাদের বেতন ভাতা অপর্যাপ্ত। অমানুষিক পরিশ্রম।
যথাযথ প্রতিরোধ মূলক কর্মসূচি না থাকায় বাংলাদেশে কিডনি ও ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিডনি রোগীদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস প্রয়োজন
দেশে অসংখ্য সরকারি স্বাস্থ্য স্থাপনা আছে। গ্রাম পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে রাজধানী শহরের অতি-বিশেষায়িত হাসপাতাল পর্যন্ত। গ্রামের মানুষের
সহজ কথায় বলতে গেলে পৃথিবীর যে কোন দেশের নাগরিকই তার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে যখন প্রয়োজন তখনই নিশ্চিতভাবে