সূচকগুলোর তালিকা

৩.১.    ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী মাতৃ মৃত্যু প্রতি ১০০,০০০ জীবিত জন্মে ৭০-এ নামিয়ে আনতে হবে।

৩.২.    ২০৩০ সাল নাগাদ নবজাতক এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রতিরোধ যোগ্য মৃত্যুর যবনিকা টানতে হবে। প্রত্যেক দেশকে নবজাতকের মৃত্যু হার প্রতি ১,০০০ জীবিত জন্মে ১২-তে এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু হার প্রতি ১,০০০ জীবিত জন্মে ২৫-এ নামিয়ে আনতে হবে।

৩.৩.   ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস, যক্ষা, ম্যালেরিয়া এবং অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের মহা মারী এবং হেপাটাইটিস, পানি-বাহিত রোগ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের মহা মারীর যবনিকা ঘটাতে হবে।

৩.৪.   ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরোধ ও চিকিৎসার মাধ্যমে অসংক্রামক রোগ থেকে অকাল মৃত্যুর হার এক তৃতীয়াংশ হ্রাস করতে হবে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার প্রসার ঘটাতে হবে।

৩.৫.   মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার এবং অ্যালকোহলের ক্ষতিকারক ব্যবহার সহ নেশা জাতীয় দ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধ সহ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে।

৩.৬.    ২০২০ সাল নাগাদ সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে।

৩.৭.   ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা, তথ্য ও শিক্ষা এবং জাতীয় কৌশল ও কর্মসূচিতে প্রজনন স্বাস্থ্যের একীকরণ সহ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য-পরিষেবাগুলিতে সর্বজনীন অ্যাক্সেস নিশ্চিত করুন।

৩.৮.   সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করতে হবে। যার মধ্যে থাকবে আর্থিক ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা, মান সম্পন্ন অপরিহার্য স্বাস্থ্য-পরিষেবাগুলিতে সহজগম্যতা এবং সবার জন্য নিরাপদ, কার্যকর, মান সম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং ভ্যাকসিন পাওয়ার নিশ্চয়তা।

৩.৯     ২০৩০ সালের মধ্যে, বিপজ্জনক রাসায়নিক এবং বায়ু, পানি এবং মাটি দূষণ এবং দূষণ থেকে মৃত্যু এবং অসুস্থতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করতে হবে।

৩.এ.   যথাযথভাবে সমস্ত দেশে তামাক নিযন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের বাস্তবায়ন জোরদার করতে হবে।

৩.বি.   ট্রিপস চুক্তি এবং জন স্বাস্থ্য বিষয়ক দোহা ঘোষণা অনুসারে প্রাথমিক ভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে প্রভাবিত করে এমন সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগগুলির জন্য ভ্যাকসিন এবং ঔষধের গবেষণা এবং বিকাশে সহায়তা দিতে হবে। সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং ভ্যাকসিনের সহজগম্যতা সৃষ্টি করতে হবে। জন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য মেধা-সম্পত্তি অধিকার সম্পর্কিত বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তির বিধানগুলি সম্পূর্ণ রূপে ব্যবহারের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলির অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে। বিশেষ করে সকলের জন্য ওষুধের সহজ-প্রাপ্তি নিশ্চিত-কল্পে।

৩.সি.   উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বিশেষ করে স্বল্পোন্নত এবং ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলিতে স্বাস্থ্য খাতে অর্থায়ন এবং স্বাস্থ্য জনবল নিয়োগ, উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং তাদের ধরে রাখার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করতে হবে।

৩.ডি. জাতীয় ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রাথমিক সতর্কতা, ঝুঁকি হ্রাস এবং ব্যবস্থাপনার জন্য সমস্ত দেশের বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির সক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে হবে।

সর্বশেষ লেখা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন উচ্চতর কোর্সে প্রয়োজন অনুযায়ী আসন সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে হবে।
বাংলাদেশে কর্ম রত সরকারি-বেসরকারি সব চিকিৎসকের মধ্যেই ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতা লক্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর অন্যতম কারণ
সরকারি চিকিৎসাঙ্গনে চাকুরীরত চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ওয়ার্ডবয়, আয়া, কর্মচারী কেউ সন্তুষ্ট নন। কারণ তাদের বেতন ভাতা অপর্যাপ্ত। অমানুষিক পরিশ্রম।
যথাযথ প্রতিরোধ মূলক কর্মসূচি না থাকায় বাংলাদেশে কিডনি ও ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিডনি রোগীদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস প্রয়োজন
দেশে অসংখ্য সরকারি স্বাস্থ্য স্থাপনা আছে। গ্রাম পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে রাজধানী শহরের অতি-বিশেষায়িত হাসপাতাল পর্যন্ত। গ্রামের মানুষের
সহজ কথায় বলতে গেলে পৃথিবীর যে কোন দেশের নাগরিকই তার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে যখন প্রয়োজন তখনই নিশ্চিতভাবে