ভূমিকা

দেশে অসংখ্য সরকারি স্বাস্থ্য স্থাপনা আছে। গ্রাম পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে রাজধানী শহরের অতি-বিশেষায়িত হাসপাতাল পর্যন্ত। গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে বটে।

তবে জনগণের সামান্য অংশই এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণ করে থাকে। যারা সেবা গ্রহণ করতে যায় তারা মূলত: হত দরিদ্র, মা ও শিশু যাদের অন্যত্র যাওয়ার উপায় নাই। সেবা গ্রহীতারা  স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় নেয় সেগুলি হলো: সেবা প্রদানকারী পরিচিত কিনা; সেবা কেন্দ্রগুলি বাড়ির কাছে কিনা ইত্যাদি। কিছু লোক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রয়োজন না থাকলেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। এটা তাদের অভ্যাস। কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এমনকি উপজেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগের রোগীদের তালিকা নিলে দেখা যাবে এক শ্রেণীর ব্যক্তির প্রায়শ সেবা গ্রহণ করে থাকে।

শহরাঞ্চলে গ্রামের মত সুসংবদ্ধ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পরিকাঠামো নাই। ফলে বাসার কাছে সহজে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার সুবিধা কম।

স্বাস্থ্য সেবা নিতে বেশীর ভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ নিকটস্থ ঔষধের দোকান

স্বাস্থ্য সেবা নিতে বেশীর ভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ নিকটস্থ ঔষধের দোকান। সেখানে পরিদর্শন ফি লাগে না। ফার্মাসিস্ট বা ঔষধ বিপনন কারী রোগের লক্ষণ শুনে তাৎক্ষণিক ঔষধ দেয়। মানুষ ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে যতটা সম্ভব ঔষধ কিনে নেয়। অর্থের অভাবে বা খরচ বাঁচাতে প্রায় ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ ডোজে ঔষধ কেনা হয় না। সেটা এন্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

অনেকে অসুখ ধরে রাখে

অনেকে অসুখ ধরে রাখে বা চিকিৎসা করালেও অপর্যাপ্ত চিকিৎসা করায়। সামর্থ্যের অভাব তো আছেই। আর আছে অসচেতনতা।

স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখে না

স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখে না। তাকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পরামর্শ দেয় না।

মর্যাদার সাথে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নাই

সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মর্যাদার সাথে চিকিৎসা পাওয়ার নিশ্চয়তা নাই। স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে অবহেলা করা হয় এই ধারণাটি মানুষের বদ্ধমুল বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। গণ মাধ্যম ও সামাজিক গণ মাধ্যমও মানুষের এ বিশ্বাসটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছে। কাজেই অসুস্থ আত্মীয়কে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে পরিজনদের মধ্যে অবচেতন ভাবে সহজেই এই প্রতিক্রিয়াটি দানা বাধে যে রোগীর প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেয়া হচ্ছে না। তারা অল্পেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। অনেক সময় মারমুখী হতে দেখা যায়। সেবা প্রদানকারীরাও ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পরিবর্তে পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে প্রতিবাদ এবং প্রতিশোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আগ্রহী থাকেন।

ভুল বা অপর্যাপ্ত চিকিৎসায় জটিলতা

যারা অচিকিৎসক বা হাতুড়ে চিকিৎসকের নিকট থেকে চিকিৎসা নেয় বা অপর্যাপ্ত চিকিৎসা নেয় তাদের অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন চিকিৎসা করেও রোগ নিরাময় হয় না। অনেক সময় রোগ জটিল হয়ে পড়ে। তখন তারা চেষ্টা করে ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারে যেতে বা কোন বেসরকারি বা এনজিও হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতে। এদের অনেককে চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে বহু কষ্টে জমানো টাকা শেষ করে ফেলতে হয়। অনেকে খরচ পোষাতে পারবে না বলে সরকারি হাসপাতালেই যায়।

সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার আগে পরিচিত কাউকে খুঁজে

তবে যাওয়ার আগে চেষ্টা করে পরিচিত কারও রেফারেন্স নিয়ে যেতে যাওয়া যায় কিনা। কেননা রেফারেন্স থাকলে একটু মনোযোগ পাওয়ার আশা থাকে।

যারা নিতান্তই হতভাগ্য তাদের আর উপায় কী?

যারা নিতান্তই হতভাগ্য তাদের আর উপায় কী? তারা ভালো আচরণ নাও পেতে পারে এমন আশঙ্কা নিয়েই সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়। অনেক বাস্তববাদী অবশ্য এ হিসাব করেও দেখে যে, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা খরচের নামে আসলে যে পরিমাণ সময়, ভোগান্তি এবং সার্বিক খরচ হবে তার চেয়ে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়াই সাশ্রয়ী।

গ্রামে বাড়ির কাছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকতে মানুষ সেখানে যায় না কেন?

প্রশ্ন হলো গ্রামে বাড়ির কাছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকতে মানুষ সেখানে যায় না কেন? কারণ আস্থার অভাব। মানুষ মনে করে সেবা প্রদানকারী ভালো করে অর্থাৎ মনোযোগ দিয়ে শুনবে না। তাদের ব্যবহার ভালো না। সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভালো মানের ঔষধ পাওয়া যায় না। সামান্য ঔষধ দেয়। যে সব ঔষধ কিনতে বেশী দাম লাগে সেগুলি বাইরে থেকে কিনতে হয়। তাহলে সেখানে গিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ কী?

শহরের সরকারি হাসপাতালে যারা নিরুপায় হয়ে আসে

যারা শহরের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে আসে বা ভর্তি হয় তারা জানে যে, সেখানে সেবার সার্বিক মান ভালো নয়। ঔষধ পত্র, শল্য চিকিৎসার সরঞ্জামাদি, ল্যাবরেটরীর পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান মোটামুটি সব কিছুই টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তবু তারা আসে। কেননা তাদের টাকার জোর কম। সময় লাগলেও বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকের চেয়ে তো সেবাগুলির মূল্য কম। সরকারি হাসপাতালে বিছানা পেতে, আগে সিরিয়াল পেতে, ওয়ার্ডে ঠিকমত সেবা পেতে বকশিশ দিতে হয় এমন অভিযোগও বিস্তর। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অবস্থা যে দুর্বিসহ এটাও সবাই জানে।

জরুরী চিকিৎসার জন্য মানুষ কোথায় যায়?

জরুরী চিকিৎসার জন্য অবশ্য মানুষ সরকারি হাসপাতালেই বেশী আসে। কেননা মানুষ জানে সরকারি হাসপাতালগুলিতে জরুরী বিভাগ থাকে। জরুরী স্বাস্থ্য সেবার জন্য চিকিৎসক ও নার্সও হয়ত পাওয়া যাবে। টাকা পয়সা না থাকলেও হয়ত চিকিৎসা শুরু হবে। বেসরকারি হাসপাতালে জরুরী স্বাস্থ্য সেবার জন্য মানুষ কম যায়। কেননা নিকটস্থ বেসরকারি হাসপাতালে জরুরী সেবা আছে কিনা সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা। টাকা ছাড়া সেখানে জরুরী সেবা পাওয়া যাবে না এটাও সকলেই জানে।

জরুরী চিকিৎসার জন্য এম্বুলেন্স

জরুরী চিকিৎসা সেবার বিষয়ে আরও একটা কথা বলা দরকার। তা হলো এম্বুলেন্স বিষয়ে। এম্বুলেন্স তো হওয়া উচিত জরুরী চিকিৎসা সেবার জন্য। ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জন্য বিনামূল্যে। কেননা একজন ধনী ব্যক্তি যদি একা রাস্তায় বা অন্য কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্য কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে তার এম্বুলেন্স সেবার টাকার ব্যবস্থা করবে কে? এম্বুলেন্স সেবার জন্য টাকা লাগে বলে অনেক গরীব মানুষ এম্বুলেন্স ডাকে না। ডাকতে ভয় পায়। সরকারি এম্বুলেন্সগুলি দক্ষতার সাথে ব্যবহৃত হয় না। অধিকাংশ সময় অলস বসে থাকে। কারণ এম্বুলেন্সগুলি হাসপাতাল-কেন্দ্রীক। শুধু ঐ হাসপাতালের রোগী আনা বা ঐ হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে অন্য হাসপাতাল বা বাড়িতে র্পৌছানোর কাজ করে। বাকী সময় অলস বসে থাকে। অথচ আশেপাশেই হয়ত বাড়িতে বা অন্য হাসপাতালের রোগী এম্বুলেন্স পাচ্ছে না।

চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার এবং বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিকগুলির বিরুদ্ধে নাগরিকদের অভিযোগ

নাগরিকা অভিযোগ করে থাকে প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তারদের ফি অনেক বেশী। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে পরবর্তী ভিজিটের সময়ও একই ভিজিট নেয়া হয়। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যে তারা অনাবশ্যক বেশী ঔষধ দেন। ঔষধ কোম্পানীগুলি থেকে গ্রহণ কৃত পারিতোষিকের বিনিময় হিসেবে। ঔষধ কোম্পানীগুলোর কাছ থেকে চিকিৎসকদের অনৈতিক উপঢৌকন ও সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, অনেক চিকিৎসক পছন্দের ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য রোগীকে পরামর্শ দেন। এর বিনিময়ে কমিশন গ্রহণ করেন। কমিশন বাণিজ্য না থাকলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ ব্যয় কমানো যেতো বলে অনেকেই মনে করেন। অভিযোগ আছে যে, কোন কোন চিকিৎসক প্রয়োজন না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিককে সুবিধা দেওয়ার জন্য। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিষয়ে এমন অভিযোগও রয়েছে যে তারা নিজেদের প্রাইভেট চেম্বারে যেতে বলেন। কারণ দেখান যে তার সরকারি হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় বিশেষ যন্ত্রটি নেই। অথচ চিকিৎসকরা নিজ সরকারি হাসপাতালের প্রতি মনোযোগী হলে সরকারি হাসপাতালেও যাবতীয় যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়ত অসম্ভব ছিল না।

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার নীতির সাথে সংগতিপূর্ণ করতে হলে ব্যক্তি-কেন্দ্রীকভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেই

স্বাস্থ্য সূচকগুলি পরিমাপ করা উচিত

স্বাস্থ্য সূচকগুলির তথ্য সংগ্রহের জন্য মাঝে মাঝে কিছু জরীপ চালানো হয়। তাতে সামগ্রিক চিত্র পাওয়া যায় বটে। কিন্তু, স্বাস্থ্য সূচকে পিছিয়ে থাকা ব্যক্তিটিকে চিহ্নিত করা যায় না। জরীপগুলিতেও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভৌগলিক এলাকার ভিত্তিতে যেমন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ অনুযায়ী নিয়মিত পরিমাপের ব্যবস্থা নেই। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রস্তাবিত ১০০ স্বাস্থ্য সূচকের অধিকাংশ সূচক এমনই যে, জনমিতিক (population-based) তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা না হলে এসব পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। জরীপের মাধ্যমে এ ধরণের সূচক-ভিত্তিক পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা সম্ভব হলেও ব্যক্তি-কেন্দ্রীকভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করাই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার নীতির সাথে সংগতিপূর্ণ। বর্ণিত সূচকগুলি স্থানীয় ভিত্তিতে প্রস্তুত করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এর আলোকে স্থানীয় প্রয়োজনের আলোকে স্থানীয় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। স্বাস্থ্য কর্মসূচিগুলি কার্যকর হচ্ছে কিনা তা জানা যায়। জানতে পারলে স্বাস্থ্য কর্মসূচি সংশোধনের সুযোগ পাওয়া যায়।

বেসরকারি হাসপাতালে ফি বেশী নেয়

রোগীরা অভিযোগ করে থাকে যে, ভর্তি রোগীদের নিকট থেকে  হাসপাতালগুলি অযৌক্তিক ভাবে প্রতিদিনের জন্য চিকিৎসকের একাধিক ভিজিটের ফি নিয়ে থাকে। উচ্চ মূল্যের অস্ত্রোপচার কক্ষ ফি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি নিয়ে থাকে। অপ্রয়োজনে আইসিইউ, এইচডিইউ ইত্যাদিতে ভর্তি করায় বা সেখানে রোগীদের অবস্থান কাল দীর্ঘ করে। এটা জানা যে, বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ/এইচডিইউ-র দৈনিক ভাড়া কত বেশী? এ ধরণের অতি ব্যয় সাধারণ নাগরিকের পক্ষে বহন করা কষ্টকর।

অসংক্রামক রোগ বাড়ছে যথাযথ প্রতিরোধ মূলক কর্মসূচি না থাকায় বাংলাদেশে কিডনি ও ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিডনি রোগীদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয়। ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপি বা রেডিও থেরাপি চিকিৎসা সহজ প্রাপ্য নয় এবং অত্যন্ত ব্যয় বহুল। হার্ট ও দীর্ঘস্থায়ী শ্বাস কষ্টের রোগীও বাড়ছে। এ ধরণের সব রোগের চিকিৎসাই রোগ নির্ণয়ের পর আমৃত্যু চলে। ব্যয়বহুল হওয়ায় পরিবারগুলি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে অপরিসীম সমস্যায় পড়ে।

সর্বশেষ লেখা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন উচ্চতর কোর্সে প্রয়োজন অনুযায়ী আসন সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে হবে।
বাংলাদেশে কর্ম রত সরকারি-বেসরকারি সব চিকিৎসকের মধ্যেই ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতা লক্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর অন্যতম কারণ
সরকারি চিকিৎসাঙ্গনে চাকুরীরত চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ওয়ার্ডবয়, আয়া, কর্মচারী কেউ সন্তুষ্ট নন। কারণ তাদের বেতন ভাতা অপর্যাপ্ত। অমানুষিক পরিশ্রম।
যথাযথ প্রতিরোধ মূলক কর্মসূচি না থাকায় বাংলাদেশে কিডনি ও ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিডনি রোগীদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস প্রয়োজন
দেশে অসংখ্য সরকারি স্বাস্থ্য স্থাপনা আছে। গ্রাম পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে রাজধানী শহরের অতি-বিশেষায়িত হাসপাতাল পর্যন্ত। গ্রামের মানুষের
সহজ কথায় বলতে গেলে পৃথিবীর যে কোন দেশের নাগরিকই তার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে যখন প্রয়োজন তখনই নিশ্চিতভাবে